ভারী বর্ষণে চট্টগ্রাম নগরের কিছু কিছু এলাকায় পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে কর্মস্থলগামী লোকজনকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। রোববার (২৭ জুলাই ২০২৫) রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয় এবং সোমবার (২৮ জুলাই ২০২৫) সকালে তা মুষলধারে রূপ নেয়। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উচ্চ জোয়ার।
জলাবদ্ধতার চিত্র ও পূর্বাভাস
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আমবাগান কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রোববার সকাল ৯টা থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে সোমবার সকাল ৯টার পর ভারী বর্ষণ হয়েছে।
ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়, কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জ, শুলকবহর, মুরাদপুর, আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা এবং হালিশহর আবাসিক এলাকায় পানি জমেছে বলে জানা গেছে। এসব এলাকায় গোড়ালি থেকে হাঁটু পরিমাণ পানি জমে ছিল, যা প্রায় আধ ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আল আমিন জানান, সকালে তেমন পানি না থাকলেও ১০টার দিকে সড়কে পানি জমতে শুরু করে এবং তাকে পানি মাড়িয়ে অফিসে আসতে হয়েছে। আগ্রাবাদ ব্যাংক পাড়া এলাকায়, যেখানে একটি সরকারি কলেজ ও দুটি প্রাইমারি ও উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে, শিক্ষার্থীরা পানি মাড়িয়ে বিদ্যালয়ে গেছে। আরিফ ইসতিয়াক নামে এক ব্যক্তি আগ্রাবাদ এলাকায় কাজে যাওয়ার পথে দেওয়ানহাট এলাকায় সড়কে পানি জমে থাকতে দেখেছেন। ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম নগরের আমতল কর্মস্থলে যাওয়ার পথে শুলকবহর ও মুরাদপুরসহ অন্তত তিন জায়গায় পানি জমে থাকতে দেখেছেন।
সিটি কর্পোরেশনের উপপ্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা বলেছেন, “সকালে ভারী বর্ষণের সঙ্গে উচ্চ জোয়ার হওয়ায় কয়েকটি এলাকায় পানি জমেছিল। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে নেমে যাবে।”
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে আগামী আরও কয়েকদিন ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে। একইসঙ্গে ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের আশঙ্কার কথাও জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকার সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকার চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বড় প্রকল্পটির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।