জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণ এবং সত্যকে তুলে ধরার আহ্বান জানানো হয়েছে প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে। রোববার (২৭ জুলাই ২০২৫) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ঢাকাভিত্তিক গবেষণা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটেড থট (আরআইটি) এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ এই দিনব্যাপী সম্মেলনের আয়োজন করে।
ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে গণজাগরণ
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। তার বক্তব্যে তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা রাষ্ট্রকে জনগণের বিরুদ্ধে অস্ত্রে পরিণত করেছিল। র্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে সন্ত্রাসের হাতিয়ার বানানো হয়েছিল। গুম-খুন হয়ে উঠেছিল নিত্যদিনের ঘটনা। কবি, শিক্ষক, সাংবাদিক ও ছাত্রনেতাদেরকে অপরাধী হিসেবে জেলে ভরা হয়েছিল। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মুক্ত চিন্তায় বাধা দেওয়া হতো।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা বিকৃত ইতিহাস থেকে সত্যকে উদ্ধার করতে চাই। যারা নিখোঁজ হয়েছেন, তাদের পরিবারের কান্না ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে গেঁথে থাকা গুলির চিহ্ন— এ সবই একদিন ন্যায়বিচার নির্মাণকাজের প্রমাণ হয়ে উঠবে।”
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব ছিল জাতির গণজাগরণের একটি অমোঘ মুহূর্ত। এটি কেবল ছাত্রদের প্রতিবাদ ছিল না, বরং এটি ছিল পুরো জাতির বিবেকের পুনর্জাগরণ।”
সমাপনী ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সম্মেলনের সমাপনী পর্বে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, মালয়েশিয়ার পার্টি কেডিলান রকইয়াটের (পিকেআর) ডেপুটি প্রেসিডেন্ট নুরুল ইজজাহ আনোয়ার, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত ড. লুৎফে সিদ্দিকী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকস্ চৌধুরী।
সম্মেলন শেষে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) অডিটোরিয়ামে ‘লাল জুলাই’ নামক একটি মঞ্চনাটক পরিবেশন করা হয়।