জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে খসড়ার প্রকাশ নিয়ে তীব্র আপত্তি, নির্বাচন-পূর্ব বাস্তবায়নের দাবি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জানিয়েছে, আলোচনায় যেসব বিষয়ে ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছে, সেগুলোর নির্বাচনের আগেই আইনি কাঠামোতে বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা না থাকলে তারা জুলাই সনদ গ্রহণ করবে না। মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের বিরতিতে দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছি—ঐকমত্যের বিষয়গুলো আইনগত ভিত্তি পেয়ে নির্বাচনের পূর্বেই কার্যকর হতে হবে। এরপরেই নির্বাচন হতে পারে।”
খসড়া প্রকাশে ‘একতরফা’ অভিযোগ
জাবেদ রাসিন অভিযোগ করেন, কমিশন ছয়টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ পদ্ধতি প্রস্তাব করলেও তা নিয়ে আলোচনা না করে হঠাৎ করে জুলাই সনদের খসড়া প্রকাশ করেছে, যা তিনি “সঠিক কাজ নয়” বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা ছাড়াই খসড়া প্রকাশ, আমরা গ্রহণযোগ্য মনে করি না।”
র্যাংক চয়েজ পদ্ধতি ও কমিটি গঠনের প্রস্তাব
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি নিয়ে ‘র্যাংক চয়েজ’ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানান তিনি। আজকের আলোচনায় বিচার বিভাগ থেকে আরও দুই সদস্য যুক্ত করে সাত সদস্যের একটি ভোটদাতা কমিটি গঠনের প্রস্তাব আসে, যা এনসিপিসহ অধিকাংশ দল গ্রহণ করেছে — বিএনপি ও তাদের কিছু সহযোগী দল ছাড়া।
মৌলিক সংস্কার ছাড়া সনদ নয়
জাবেদ রাসিন বলেন, “যেসব মৌলিক সংস্কার ছাড়া ফ্যাসিবাদী কাঠামো দূর করা সম্ভব নয়, তা বাস্তবায়ন না হলে এনসিপি জুলাই সনদে সই করবে কি না, তা দলীয় ফোরামে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” তিনি একতরফাভাবে কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ারও তীব্র বিরোধিতা করেন।