জাতিসংঘের অফিস স্থাপনে অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন, অখণ্ডতা ক্ষুণ্নের আশঙ্কা
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের ঢাকা কার্যালয় স্থাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের কয়েকটি রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই, যা জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী হতে পারে।
সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা বলেন, “মানবাধিকারের দোহাই দিয়ে দেশের অখণ্ডতা ক্ষুণ্ন হলে, তা সকলের জন্য উদ্বেগজনক।” সভার বিষয় ছিল: ‘ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস সংক্রান্ত চুক্তিকে কেন্দ্র করে করণীয় নির্ধারণ’।
এই সময় অনুষ্ঠানে অনেকেই বক্তব্য রেখে সালাহউদ্দিন আহমেদ (বিএনপি) বলেন মানবাধিকার পরিস্থিতি গাজা-আরাকানের চেয়েও বেশি সংকটপূর্ণ হলেও সেখানে জাতিসংঘের কার্যকর ভূমিকা নেই। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রশ্নে আন্তর্জাতিক এজেন্ডা ঠেকাতে রাষ্ট্রকে সতর্ক থাকতে হবে। মামুনুল হক (হেফাজতে ইসলাম) বলেন “আমরা কারও মুখপানে তাকিয়ে কথা বলবো না। ফ্যাসিবাদকে জন্ম দিয়েছে এমন রাষ্ট্রের ভূমিকাও নজরে রাখতে হবে। মজিবুর রহমান মঞ্জু (আমার বাংলাদেশ পার্টি) বলেন চুক্তির বাইরে কমিশন কাজ করলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
এখন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সমঝোতার ভিত্তিতে নতুন চুক্তি করতে হবে। নুরুল হক (গণঅধিকার পরিষদ) জানান পশ্চিমা দেশগুলো মানবাধিকারকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। পার্বত্য চট্টগ্রামে ষড়যন্ত্র বাড়ছে, এই মিশন স্থাপিত হলে তা আরও ঘনীভূত হবে।সালাহউদ্দিন আহমেদ উল্লেখ করেন, জাতিসংঘের বর্তমান আবাসিক প্রতিনিধির মেয়াদ শেষের দিকে, এবং তাঁর স্থলে আসতে যাওয়া ব্যক্তিকে ঘিরে আপত্তিকর খবর শোনা যাচ্ছে। যদিও তিনি পুরো বিষয়টি খোলাসা করেননি— তাঁর মতে, এটি স্পর্শকাতর এবং সরকার বিষয়টি বিবেচনায় নেবে। অনুষ্ঠানে উপস্থীত ছিলেন, সাজেদুর রহমান (সভাপতিত্ব),মাহফুজুল হক, সালাউদ্দিন নানুপুরী, আহমদ আলী, মহিউদ্দিন রাব্বানী , রেজাউল করিম (জাতীয় ওলামা মাশায়েখের মহাসচিব), আবদুল হক (সাবেক সেনা কর্মকর্তা)