ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা ও নিষেধাজ্ঞায় একদিনে আরও অন্তত ৮০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি খাদ্য ও চিকিৎসাসেবার অভাবে অনাহারে মারা গেছেন আরও ১৪ জন, যাদের মধ্যে রয়েছে দুই শিশু। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর আল জাজিরার।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলমান যুদ্ধের শুরু থেকে অপুষ্টিজনিত কারণে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৪৭ জন, এর মধ্যে ৮৮ জনই শিশু।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে গাজায় চলতি বছরের মার্চে সম্পূর্ণ অবরোধ জারি করা হয়। মে মাসে আংশিকভাবে তা শিথিল করা হলেও এখনও সীমিত পরিমাণে ত্রাণ ও খাদ্যসামগ্রী প্রবেশ করতে পারছে। জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার সতর্কতার পরও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তাকারী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ ল্যাজারিনি বলেন, “গাজায় আমাদের সহকর্মীরা মানুষের এমন অবস্থা দেখছেন যেন তারা জীবিতও নয়, মৃতও নয়—একটি হাঁটতে থাকা লাশ মাত্র।”
জাতিসংঘের একটি সম্মেলনে ফিলিপ ল্যাজারিনি বলেন, “শুধু নিন্দা জানানো যথেষ্ট নয়। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হবে, মানবিক দুর্যোগ রোধ করতে হবে এবং বন্দিদের মুক্ত করতে হবে।”
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্কটল্যান্ড সফরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “গাজায় প্রকৃত অর্থে দুর্ভিক্ষ চলছে, এবং এর জন্য ইসরায়েলকে বড় ধরনের দায় নিতে হবে।”
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ দাবির বিরোধিতা করে বলেন, “গাজায় কোনো দুর্ভিক্ষ নেই। বরং ইসরায়েল মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।” তবে বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা।
গাজা সরকারের গণমাধ্যম দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত ১৫০ দিনে শিশু খাদ্য ঢুকতে না দেওয়ার কারণে ৪০ হাজারের বেশি শিশু মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে।
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, “বর্তমান পরিস্থিতিতে অবিলম্বে এবং শর্তহীনভাবে সব সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেওয়া না হলে মানবিক বিপর্যয় আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।

