ভারতের সংসদের বর্ষা অধিবেশন সোমবার শুরু হওয়ার পরপরই বিরোধীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে লোকসভা। ‘অপারেশন সিঁদুর’, পেহেলগাম হামলা’ এবং বিহারের বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধনের বিষয়ে আলোচনা না হওয়ায় বিরোধীরা একযোগে সরকারবিরোধী অবস্থান নেন, ফলে অধিবেশন মুলতবি করতে বাধ্য হন স্পিকার।
বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অধিবেশন শুরুর পর প্রশ্নোত্তর পর্বের অনুমতি দেন স্পিকার ওম বিড়লা। তবে বিরোধী দলগুলোর জোট ‘ইন্ডিয়া অ্যালায়েন্স’ এর সদস্যরা বিক্ষোভ শুরু করেন।
‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, চার দিনের এই অভিযানে সেনাবাহিনীর কোনো ক্ষতি হয়নি। কারও চাপে পড়ে অভিযান বন্ধ হয়নি। বরং নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণ হওয়ায় অভিযান স্থগিত করা হয়। তিনি বিরোধীদের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করে বলেন, “প্রশ্ন করা উচিত পাকিস্তানের ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে, ভারতের নয়।”
ভারতের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা পি. চিদাম্বরম পেহেলগামে হওয়া সাম্প্রতিক হামলা নিয়ে বলেন, এই হামলায় পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ নেই। দেশীয় সন্ত্রাসীরাই এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। তাঁর এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে বিজেপি বলেছে, “চিদাম্বরমের বক্তব্য জাতীয় স্বার্থবিরোধী।”
এদিকে জম্মু-কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর সংলগ্ন দাচিগাম পাহাড়ি অরণ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনী, সিআরপিএফ ও কাশ্মীর পুলিশ যৌথভাবে শুরু করেছে ‘অপারেশন মহাদেব’। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত তিন বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একজন হচ্ছে পেহেলগাম হামলার মূল পরিকল্পনাকারী সুলেমান শাহ। বিহারের বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধনের বিষয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর জবাব দাবি করেন বিরোধীরা। তবে সরকার পক্ষ এ নিয়ে কোনো বক্তব্য না দেওয়ায় উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়।