বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম জানিয়েছেন, চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি যুক্ত করা হবে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে রোবোটিক সার্জারি চালু করা হবে। তিনি এসব কথা বলেছেন বিএমইউয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কনফারেন্স কক্ষে ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (আসেসকো) ও বিএমইউ’র মধ্যে একাডেমিক-টেকনিক্যাল কোলাবরেশনের শীর্ষক সভায়।
অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম বলেন, এআই ভিত্তিক চিকিৎসা সেবা এবং পুনর্বাসন সেবায় দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে আমরা আন্তরিক। চিকিৎসা সেবায় এআই-এর প্রয়োগ, মেডিকেল শিক্ষার আধুনিকায়ন ও গবেষণায় সহযোগিতা চাই।
সভায় অধ্যাপক ডা. রাহিল কামার ভবিষ্যতের মেডিকেল সায়েন্সে এআই-এর সম্ভাবনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ন আলোচনা করেন। বিএমইউয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও শিক্ষাবিদরাও এ বিষয়ে মতামত প্রদান করেন। অংশ নেন প্রফেসর ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী, প্রফেসর ডা. মো. রুহল আমিন, সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাখাওয়াত হোসেন, জনস্বাস্থ্য ও ইনফরমেটিক্স বিভাগের প্রফেসর ডা. এম. মোস্তফা জামান, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. খালেকুজ্জামান ও সহকারী অধ্যাপক ডা. মারুফ হক খান।
এআই-এর সুফল ও চ্যালেঞ্জ বিশ্লেষকরা বলছেন, চিকিৎসায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি অনেক ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয়, ডেটা বিশ্লেষণ ও রোগীর ব্যবস্থাপনায় দ্রুততা ও নির্ভুলতা বৃদ্ধি করতে পারে, যা রোগীদের জন্য সুবিধাজনক। এআই ব্যবহারে চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়ন, ব্যয় কমানো এবং দূরবর্তী এলাকার মানুষও সহজে উন্নত চিকিৎসা সুবিধা পেতে পারে।
তবে কিছু বিশেষজ্ঞ আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এআই প্রযুক্তির অপব্যবহার, ডেটা সুরক্ষা ও গোপনীয়তা রক্ষা, এবং মানুষের চিকিৎসা অভিজ্ঞতার বিকল্প হিসেবে প্রযুক্তির অতিরিক্ত নির্ভরতা সম্ভাব্য ঝুঁকি হিসেবে থাকতে পারে। এছাড়া প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ব্যবহারজনিত বৈষম্যও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
সুতরাং, চিকিৎসায় এআই-এর প্রয়োগে অবশ্যই সতর্ক ও সুশৃঙ্খল নীতি প্রয়োগ প্রয়োজন, যাতে প্রযুক্তির সুফল সর্বোচ্চ ও ক্ষতি ন্যূনতম হয়। বিএমইউসহ দেশের চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলো এআই প্রযুক্তিকে যুক্ত করে আধুনিক ও দক্ষ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।