১৭ শতাংশ শুল্ক ছাড়ের সফলতা উদযাপন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কৌশলে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলল
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন বাণিজ্য চুক্তিকে বাংলাদেশের এক ঐতিহাসিক কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। চুক্তির ফলে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর শুল্ক হার ২০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা পূর্ববর্তী শুল্ক হারের তুলনায় ১৭ শতাংশ কম। শুক্রবার (১ আগস্ট) এক শুভেচ্ছা বার্তায় অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এটি আমাদের আলোচকদের অসাধারণ কৌশলগত দক্ষতার পরিচয়। এই অর্জন শুধু অর্থনৈতিক নয়, এটি কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও একটি মাইলফলক।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশের শুল্ক আলোচকরা দিনরাত পরিশ্রম করে অত্যন্ত জটিল ও বহুস্তরীয় আলোচনা এগিয়ে নিয়েছেন। চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল,শুল্ক ও অ-শুল্ক বাধা,জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়,তুলনামূলক সুবিধা রক্ষা। তিনি আরও বলেন, আমাদের আলোচকরা কেবল অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করেননি, বরং যুক্তরাষ্ট্রের মতো বৃহৎ বাজারে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করে বাংলাদেশের পণ্যের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছেন।
এই বাণিজ্য চুক্তিকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে তৈরি পোশাক, হোম টেক্সটাইল, চামড়াজাত পণ্য এবং হালকা প্রকৌশল পণ্য আমদানির বাজার সম্প্রসারণে এই চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই অর্জন কেবল আমাদের অতীত সাফল্যের স্বীকৃতি নয়, বরং এটি আগামীর অর্থনৈতিক স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথকে প্রশস্ত করেছে।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল। আজকের এই সাফল্য আমাদের জাতীয় দৃঢ়তা, নেতৃত্বের প্রজ্ঞা এবং আরও শক্তিশালী অর্থনীতির দৃষ্টিভঙ্গির এক শক্তিশালী নিদর্শন। তিনি এই অর্জনের জন্য আলোচক দলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দেশের অর্থনীতি, কূটনীতি ও জনগণের উন্নয়নের জন্য তাঁরা এক দুর্দান্ত উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন।