গাজায় চলমান যুদ্ধ আর ইসরায়েলি জনগণের সমর্থন পাচ্ছে না—এমন মন্তব্য করে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলের বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ। তিনি বলেছেন, এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো বন্দিদের মুক্ত করে ঘরে ফিরিয়ে আনা। রোববার (৩ আগস্ট) টাইমস অব ইসরায়েলের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। ইয়ার লাপিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ইসরায়েলের প্রতিটি যুদ্ধে জনসমর্থন একটি অপরিহার্য শর্ত। যদি জনগণ যুদ্ধের লক্ষ্যকে বিশ্বাস না করে এবং নেতৃত্বে আস্থা না রাখে, তবে সেই যুদ্ধ টিকে থাকতে পারে না।
তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে সেই তিনটি শর্তের কোনোটিই বিদ্যমান নেই। তাই এখনই যুদ্ধ বন্ধ করার সময়।এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শনিবার ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে গাজার বিভিন্ন স্থানে অন্তত ২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৬ জন ছিলেন সহায়তার অপেক্ষায় থাকা বেসামরিক নাগরিক। অবরুদ্ধ গাজায় অনাহার ও অপুষ্টিজনিত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৫ জনে, এর মধ্যে ৯৩ জনই শিশু। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার ৪৩০ জন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৪৮ হাজার ৭২২ জন। অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলায় ইসরায়েলে নিহত হন আনুমানিক ১ হাজার ১৩৯ জন এবং ২০০ জনেরও বেশি মানুষ অপহৃত হন। গাজায় চলমান সামরিক অভিযান ও ক্রমবর্ধমান মানবিক বিপর্যয় নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে। খাদ্য সংকট, চিকিৎসার অভাব ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে গাজার পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। তা সত্ত্বেও ইসরায়েলি বাহিনী এখনো আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।