কোনো ধরনের নীতি প্রণয়নের সময় বেসরকারি খাতের মতামত ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)-এর চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার। তিনি বলেন, "নীতিনির্ধারণে বাস্তব অভিজ্ঞতার প্রতিফলন না থাকলে সেগুলো কার্যকর হয় না। সরকার-বেসরকারি অংশীদারত্ব শুধু অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে নয়, নীতিনির্ধারণেও প্রয়োজন।"
তিনি এসব কথা বলেন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) আয়োজিত একদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায়। কর্মশালার বিষয়বস্তু ছিল ‘কাস্টমস ও ভ্যাট-সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধির প্রায়োগিক দিক’। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ৩০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) কর্মশালার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, “বর্তমানে কাস্টমস ও ভ্যাট ব্যবস্থাপনার জটিলতা সম্পর্কে ব্যবসায়ীদের পর্যাপ্ত ধারণা না থাকায় তারা নিয়মিত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। অনেকক্ষেত্রে ভিন্ন ব্যাখ্যার কারণে ব্যবসার গতিপথ বিঘ্নিত হচ্ছে। এর মূল কারণ হচ্ছে বিষয়টি সম্পর্কে সচেতনতার অভাব।”
তিনি আরও বলেন, “এই ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে কাস্টমস ও ভ্যাট সংক্রান্ত আইন, বিধি ও বাস্তব প্রক্রিয়া সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীরা পরিষ্কার ধারণা পাবেন, যা তাদের প্রতিষ্ঠানে বাস্তব প্রয়োগে সহায়ক হবে।”
কর্মশালায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব (কাস্টমস) তারেক হাসান এবং দ্বিতীয় সচিব (ভ্যাট নীতি) ব্যারিস্টার মো. বদরুজ্জামান মুন্সী। তারা কাস্টমস ও ভ্যাট আইন, বিধিমালা, নীতিমালা ও তাদের প্রযোজ্যতার বাস্তব দিকসমূহ ব্যাখ্যা করেন।
তারা জানান, ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে রাজস্ব আইন ও নিয়মাবলী জানা না থাকলে অনিচ্ছাকৃত ভুলের মাধ্যমে আইনি জটিলতায় পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ এবং নিয়মিত হালনাগাদকরণ ব্যবসায়ীদের জন্য অপরিহার্য।
প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি বিসিআইর ‘উদ্যোক্তা সহায়ক কার্যক্রমের’ অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয়। সংস্থাটি জানিয়েছে, ভবিষ্যতেও তারা নিয়মিতভাবে ভ্যাট, ট্যাক্স, কাস্টমসসহ অন্যান্য প্রশাসনিক ও আইনগত বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাবে, যাতে দেশের শিল্পপতি ও উদ্যোক্তারা আরো সচেতন ও প্রস্তুত হতে পারেন।