কিছুদিনের স্বস্তি মিললেও রাজধানীর সবজির বাজার আবারও চড়েছে। বর্তমানে আলু ও পেঁপে ছাড়া কোনো সবজির দাম ৩০ টাকার নিচে নেই। বেশিরভাগ সবজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেগুন গোল হোক বা লম্বা দাম ১২০ থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে। টমেটোর দাম লাফিয়ে ১৬০ টাকায় পৌঁছেছে।
কারওয়ান বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, পটোল ৮০ টাকা, ঝিঙা ১০০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, করল্লা ১০০-১৩০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ১২০-১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানান, সাম্প্রতিক বর্ষায় সবজি ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় সরবরাহ কমে গেছে, ফলে বাজারে দামের ঝাঁজ বেড়েছে।
শুধু সবজি নয়, গত দুই দিনে ডিমের দামও এক লাফে বেড়েছে ডজনপ্রতি ১৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায়। খুচরা বিক্রেতারা বর্ষায় সরবরাহ কমে যাওয়াকে দায়ী করলেও, পাইকাররা বলছেন গত এক সপ্তাহে পাইকারি দর অপরিবর্তিত আছে প্রতিশত ডিম ১,০৬০ থেকে ১,০৭০ টাকা। জুনে এ দাম ছিল ৮০০-৮৫০ টাকা, তখন খামারিরা লোকসানে ছিলেন, এখন কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারছেন।
পেঁয়াজের দামও দ্রুত বাড়ছে। কারওয়ান বাজারে ফরিদপুর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও পাবনার দেশি পেঁয়াজ ৫ কেজির পাল্লাপ্রতি ৩৫০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজি দরে সোমবার ছিল ৬৬-৭৪ টাকা, যা একদিন আগে ৬২-৭৩ টাকা ছিল। টিসিবি জানায়, ঢাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮৫ টাকায়, যা এক মাস আগে ছিল ৫৫-৬৫ টাকা।
এদিকে চালের বাজার স্থিতিশীল। মোটা চাল ৫০-৫২ টাকা, মিনিকেট ৭২-৭৫ টাকা এবং নাজিরশাইল ৭৮-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তেলসহ অন্যান্য মুদি পণ্যের দামও অপরিবর্তিত রয়েছে।
মুরগির বাজারে সামান্য ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। ব্রয়লার মুরগি এক সপ্তাহে ১৪০-১৪৫ টাকা থেকে বেড়ে ১৫০-১৬০ টাকায় উঠেছে। মাছের বাজার আগে থেকেই চড়া—রুই ৩৬০-৪০০ টাকা, মৃগেল ৩০০-৩২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, পাঙ্গাশ ২২০-২৪০ টাকা, মলা ও কাচকি ৪০০ টাকা, আর মাঝারি আকারের বাইলা মাছ ৯০০-১,১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।