ঢাকামঙ্গলবার , ১৯ আগস্ট ২০২৫
  1. আজ দেশজুড়ে
  2. আজকের সর্বশেষ
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি সংবাদ
  5. খাদ্য ও পুষ্টি
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম
  9. চাকরি-বাকরি
  10. ছড়া
  11. জাতীয়
  12. জীবনযাপন
  13. ঢাকা
  14. তথ্যপ্রযুক্তি
  15. ধর্ম
আজকের সর্বশেষ সবখবর

‘পূর্ব পাকিস্তান’কে পাকিস্তানের সঙ্গে ফিরে আসতে হবে : পাকিস্তানি সেনাঘনিষ্ঠ পত্রিকার দাবি

আলী আশরাফ
আগস্ট ১৯, ২০২৫ ৫:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আলী আশরাফ : পাকিস্তানি সংবাদপত্র দ্য ক্যাচলাইন ‘পূর্ব পাকিস্তানকে’ ফিরে পাওয়ার ‘স্বপ্ন’ দেখছে। পত্রিকাটি বলছে, ৫৪ বছর পর হিসাব-নিকাশের সময় এসেছে। সাবেক ‘পূর্ব পাকিস্তান’কে পাকিস্তানের সঙ্গে ফিরে আসতে হবে।

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে প্রকাশিত দেশটির প্রথম সারির ইংরেজি পত্রিকা দ্য ক্যাচলাইন এক নিবন্ধে তথাকথিত এই ‘অভিমত’ তুলে ধরেছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পাকিস্তানের সঙ্গে সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের কথিত ‘একীভূত’ হওয়ার সুযোগ হিসেবে দেখছে পত্রিকাটি।

নিবন্ধটিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে ভারতের ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘দেশদ্রোহী’ বলা হয়েছে। মুজিবের হত্যাকারীদের ‘দেশপ্রেমিক’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। একইসঙ্গে পাকিস্তান প্রেমিক উপাধিতে ভূষিত করে প্রশংসা করা হয়েছে জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম ও তার ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমীকে। আমান আযমী সেনাবাহিনীর প্রধান হওয়ার যোগ্য উল্লেখ করে পত্রিকাটি বলছে, ড. ইউনূসের সরকারের উচিত তাকে জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা উভয় পদেই নিয়োগ করা।

প্রয়াত স্বৈরাচার এইচ এম এরশাদের প্রসঙ্গে পাক সংবাদমাধ্যমটিতে বলা হয়েছে, ‘এরশাদ পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্য দেখাতে ভোলেননি।’ প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সম্পর্কেও প্রশংসা করা হয়েছে। গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান ‘জামায়াত, নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. ইউনূস এবং মুসলিমদের নেতৃত্বে’ অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে পত্রিকাটির দাবি।

পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, পাকিস্তানি পত্রিকায় নিবন্ধটি এমন এক সময় প্রকাশিত হলো, যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে ঢাকা-ইসলামাবাদ কূটনৈতিক সম্পর্কে নতুন হাওয়া লেগেছে। শীর্ষস্থানীয় পাকিস্তানি কর্মকর্তারা ঢাকা সফর করছেন। চলতি আগস্ট মাসেই মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের দুই মন্ত্রী। পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান ২১ আগস্ট চার দিনের সফরে ঢাকায় আসবেন। আর দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসবেন ২৩ আগস্ট।

পাকিস্তানের প্রভাবশালী দুই মন্ত্রীর ঢাকা সফরের আগেভাগে প্রকাশিত নিবন্ধটি দেশটির জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক তাবাসসুম মোয়াজ্জাম খানের লেখা। তাকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ঘনিষ্ঠ লেখক, কলামিস্ট মনে করা হয়। দ্য ক্যাচলাইনও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রভাবশালীদের সমর্থনপুষ্ট পত্রিকা হিসেবে পরিচিত।

ওই নিবন্ধে লেখা হয়, ১৯৭১ সালে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, তার চাণক্য-ধাঁচের উপদেষ্টারা মুক্তিবাহিনী নামে পরিচিত ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ সমর্থন করে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নির্লজ্জভাবে হস্তক্ষেপ করেছিলেন।

লক্ষ্য স্পষ্ট ছিল, পূর্ব পাকিস্তানকে মাতৃভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন করা। ভারতীয় সামরিক হস্তক্ষেপ ও প্রচারণার মাধ্যমে তারা পাকিস্তানের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ বিচ্ছিন্ন করতে সফল হয়েছিল এবং সেই অংশ পাকিস্তান-বিদ্বেষী বাঙালি হিন্দু এবং তাদের মুসলিম সহযোগীদের হাতে তুলে দিয়েছিল।

অথচ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেয়া বাঙালি সেনা, ছাত্র ও সাধারণ জনতার সমন্বয়ে গঠিত হয় শক্তিশালী সামরিক বাহিনী মুক্তিবাহিনী বা মুক্তিফৌজ। যারা মন-প্রাণ সঁপে দিয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে। তাদের হঠাৎ করে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ তালিকায় ফেলে দেওয়ার যৌক্তিকতা অবশ্য তুলে ধরেননি ‘দ্য ক্যাচলাইনে’ আলোচ্য নিবন্ধের লেখিকা।

তিনি পাকিস্তানিদের দেশপ্রেমের কথা বলতে গিয়ে শেখ মুজিবকে ‘দেশদ্রোহী’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, গত ৫৪ বছর ধরে যখনই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উপর ভারত তাদের তথাকথিত ‘বিজয়’ উদযাপন করেছে, তখনই দেশপ্রেমিক পাকিস্তানিরা প্রচণ্ড যন্ত্রণা ও অপমান সহ্য করেছে।

লেখিকার দাবি, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজির আত্মসমর্পণের দলিল স্বাক্ষরের কুখ্যাত ছবি প্রচার করা হয়েছিল। সেই দিনটিতে পূর্ব পাকিস্তানকে ‘বাংলাদেশে’ রূপান্তরিত করা হয়, যা ‘দেশদ্রোহী’ শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনের অধীনে সম্পন্ন হয়। যিনি তার ভারতীয় প্রভুদের নির্দেশে মুসলিম ও দেশপ্রেমিক পাকিস্তানিদের একপাশে রেখে এই অঞ্চলটিকে হিন্দু আধিপত্যের দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন।

নিবন্ধে বলা হয়েছে, একদল ‘দেশপ্রেমিক’ সেনা কর্মকর্তার হাতে মুজিবের হত্যার পর জেনারেল জিয়াউর রহমান সরকারের প্রধান হিসেবে আবির্ভূত হন। দ্বিতীয় কাশ্মীর যুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন সম্মানিত কমান্ডার জিয়া (হিলাল-ই-জুরাত ভূষিত) পশ্চিম পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্নির্মাণ এবং ভারতের বিভাজনমূলক প্রভাব মোকাবেলায় পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।

পাকিস্তানি পত্রিকার ভাষ্য, ‘দুঃখজনকভাবে, ১৯৮১ সালে তাকে (জিয়াউর রহমান) হত্যা করা হয়, এরপর ক্ষমতায় আসেন জেনারেল এইচ এম এরশাদ। তার শাসনামলে, এরশাদ ভারত-সমর্থিত বাঙালি হিন্দু বিদ্রোহীদের প্রতিরোধ করেছিলেন। তবে, বিশ্বাস করা হয় যে তার রাজনৈতিক অবস্থানকে দুর্বল করার জন্য ভারত তাকে একটি হানিট্র্যাপের ফাঁদে ফেলেছিল। তাকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছিল।’

পত্রিকাটির দাবি, ‘তবুও, এরশাদ পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্য দেখাতে ভোলেননি। এর একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হল, পাকিস্তানের নায়ক এবং জামায়াতের নেতা প্রয়াত গোলাম আযমের পুত্র আব্দুল্লাহিল আমান আযমীর ক্ষেত্রে তার হস্তক্ষেপ।’

পত্রিকাটির দাবি, ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদানের পর পাকিস্তান বিরোধী উপাদান এবং বাঙালি হিন্দুদের বিরোধিতার মুখোমুখি হন আযমী, তারা তার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কারণ, তিনি এবং তার বাবা (গোলাম আযম) তখনও পাকিস্তানি নাগরিক ছিলেন। যখন বিষয়টি আরও তীব্র আকার ধারণ করে, তখন গোলাম আযম এরশাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরশাদ সমস্যাটি সুষ্ঠুভাবে সমাধান করেন। আমান আযমী তার বাবার মতো সবসময়ই একজন কট্টর দেশপ্রেমিক ছিলেন।’ সূত্র: সুখবর ডটকম

আমাদের সাইটে আমরা নিজস্ব সংবাদ তৈরির পাশাপাশি দেশের এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্বনামধন্য সংবাদমাধ্যম থেকে গুরুত্বপূর্ণ খবর সংগ্রহ করে নির্ভুল সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। আমরা সবসময় তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা এবং সঠিকতা নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। তবে, যদি কোনো সংবাদ নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকে, তাহলে আমরা আপনাকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি সংশ্লিষ্ট সংবাদ মাধ্যম বা নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য। এই সাইটের সব ধরণের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও এবং ভিডিও কন্টেন্ট কপিরাইট আইন দ্বারা সুরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই কন্টেন্ট ব্যবহারের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং আইনত শাস্তিযোগ্য। আমরা আমাদের ব্যবহারকারীদের একটি সুরক্ষিত ও তথ্যবহুল অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের নিউজ সাইটের মাধ্যমে পাওয়া যেকোনো তথ্য ব্যবহারের আগে দয়া করে সেই তথ্যের উৎস যাচাই করতে ভুলবেন না। আপনাদের সমর্থন এবং সহযোগিতা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। আমাদের সাথেই থাকুন, সর্বশেষ খবর এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে।
%d bloggers like this: