ঢাকাবুধবার , ২০ আগস্ট ২০২৫
  1. আজ দেশজুড়ে
  2. আজকের সর্বশেষ
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি সংবাদ
  5. খাদ্য ও পুষ্টি
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম
  9. চাকরি-বাকরি
  10. ছড়া
  11. জাতীয়
  12. জীবনযাপন
  13. ঢাকা
  14. তথ্যপ্রযুক্তি
  15. ধর্ম
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আধুনিক বিল্ডিং কোড অনুসরণ না করায় দেশে বাড়ছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন

সামিউল হাসান টলমল
আগস্ট ২০, ২০২৫ ৫:১৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সামিউল হাসান টলমল : আধুনিক বিল্ডিং কোড অনুসরণ না করায দেশে বাড়ছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন। দেশে পুরোনো বিল্ডিং কোড অনুসরণ করেই নির্মাণশিল্প চলছে। ফলে নির্মিত ভবনগুলো নিরাপত্তা ঝুঁঁকি পাশাপাশি নির্মাণ ব্যয়ও বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো নিয়মিত বিল্ডিং কোড সংশোধন করে আধুনিক, সাশ্রয়ী নির্মাণপ্রযুক্তি ও সামগ্রী ব্যবহার করলেও বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি) পরিবর্তনের দীর্ঘসূত্রতা পিছিয়ে রাখছে এ শিল্পকে। ফলে দেশে নির্মাণ ব্যয় বাড়ছে ৩০ শতাংশ। নির্মাণশিল্প বিশেষজ্ঞদের সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিশ্বব্যাপীই গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের যুগে শক্তি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব নির্মাণের ওপর। প্রচলিত উপকরণের চেয়ে অনেক সাশ্রয়ী নতুন এবং উন্নতমানের নির্মাণসামগ্রী। যা অনেক বেশি কার্যকর এবং টেকসই হয়। একই সঙ্গে নির্মাণ খরচও অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। কিন্তু বাংলাদেশে হচ্ছে তার বিপরীত। দেশের সব নির্মাতা প্রতিষ্ঠানই এখনো বিএনবিসি-২০২০ সালের কোড ব্যবহার করছে। এমনকি কেউ কেউ বিএনবিসি-২০০৬ সালের কোড অনুসরণ করছে। যা ১৯৯৩ সালে লেখা হয়েছিল। পুরোনো ওই কোডগুলো অনেকটাই পিছিয়ে বর্তমান সময়ের নির্মাণসামগ্রী, প্রযুক্তি এবং ডিজাইন দর্শন থেকে। পাশাপাশি পুরোনো বিল্ডিং কোড অনুসরণ করায় জটিলতা তৈরি হচ্ছে নতুন প্রকৌশলীদের মাঝে। ফলে ব্যয়বহুল হয়ে পড়ছে কাঠামোর নকশাও। বিশেষ কমে যাচ্ছে করে স্টিল-কংক্রিট কম্পোজিট কাঠামোয় উন্নত মানের শক্তি, সাশ্রয়ী উপকরণ ব্যবহারের সুযোগ। নির্মাতারা সনাতনী ও ব্যয়বহুল নির্মাণ পদ্ধতির ওপর নির্ভর করতে বাধ্য হচ্ছে। আর পুরোনো কোডে নির্মিত ভবনগুলোর বাসিন্দাদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ও আলোকায়নে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে হচ্ছে। তাছাড়াও পুরোনো কোড স্থপতি ও প্রকৌশলীদের নকশার স্বাধীনতাকে সীমিত করে এবং পরোক্ষভাবে প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়ে দেয়।

সূত্র জানায় নির্মাণশিল্পে নিয়মিত কোড আপডেটের মাধ্যমে আধুনিক উপকরণের ব্যবহারকে উৎসাহ দেয়া জরুরি। বিগত ২০২০ সালে বিএনবিসি সর্বশেষ ‘এসিআই ৩১৮-০৮’ অনুসরণ করে হালনাগাদ করা হয়। অথচ উন্নত বিশ্বে অনুসরণ করা হচ্ছে বিল্ডিং কোড ‘এসিআই ৩১৮-২৫’। দেশে অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড অ্যানফোর্সমেন্ট, জেনারেল বিল্ডিং রিকুয়ারমেন্টস, কন্ট্রোল অ্যান্ড রেগুলেশন ও ফায়ার প্রটেকশনের মতো বিষয়ে আইন হওয়া প্রয়োজন। কারণ নকশা ও নির্মাণের বিষয়টি গবেষণাভিত্তিক। যা সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন হয়। যা গেজেট আকারে প্রকাশ করার মতো বিষয় নয়। তবে বিল্ডিং কোডের কতটুকু অংশ গেজেটেড হবে আর কতটুকু হবে না সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার।

এ প্রসঙ্গে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের প্রফেসর ড. রাকিব আহসান জানান, বাংলাদেশে নির্মাণশিল্পে যে বিল্ডিং কোড অনুসরণ হয় তা বর্তমানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। যে বিল্ডিং কোড বিএনবিসি-২০২০ হিসেবে গেজেট হয়েছে তা মূলত এসিআই ৩১৮-০৮ ভার্সনকে অনুসরণ করা হয়েছে। ফলে নির্মাণের নতুন উপকরণের ব্যবহারের বিষয়ে অস্পষ্টতা রয়ে গেছে, যা প্রকৌশলীদের বিভ্রান্ত করছে। তাতে করে খরচ যেমন বাড়ছে, তেমনই নির্মাণশিল্পও নানান দিকে পিছিয়ে পড়ছে।

আমাদের সাইটে আমরা নিজস্ব সংবাদ তৈরির পাশাপাশি দেশের এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্বনামধন্য সংবাদমাধ্যম থেকে গুরুত্বপূর্ণ খবর সংগ্রহ করে নির্ভুল সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। আমরা সবসময় তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা এবং সঠিকতা নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। তবে, যদি কোনো সংবাদ নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকে, তাহলে আমরা আপনাকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি সংশ্লিষ্ট সংবাদ মাধ্যম বা নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য। এই সাইটের সব ধরণের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও এবং ভিডিও কন্টেন্ট কপিরাইট আইন দ্বারা সুরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই কন্টেন্ট ব্যবহারের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং আইনত শাস্তিযোগ্য। আমরা আমাদের ব্যবহারকারীদের একটি সুরক্ষিত ও তথ্যবহুল অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের নিউজ সাইটের মাধ্যমে পাওয়া যেকোনো তথ্য ব্যবহারের আগে দয়া করে সেই তথ্যের উৎস যাচাই করতে ভুলবেন না। আপনাদের সমর্থন এবং সহযোগিতা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। আমাদের সাথেই থাকুন, সর্বশেষ খবর এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে।
%d bloggers like this: