সায়েদ বাদল: বাংলাদেশে নেটওয়ার্ক মার্কেটিংয়ের জনক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আমিনের প্রধান শত্রু তারই আপন ভাতিজা আশরাফুল আমিন। ক্রেতা পরিবেশকসহ সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, আশরাফুল আমিন শুধুমাত্র রফিকুল আমিনের শত্রু নন, তিনি পুরো ডেসটিনির শত্রু। তারা অবিলম্বে আশরাফুল আমিনকে ডেসটিনি থেকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন।
জানা যায়, আশরাফুল আমিন একসময় ঢাকার একটি গলিতে গেইম খেলার দোকান দিয়ে কোন রকম দুই চার টাকা আয় করে সংসার চালাতেন। তার আপন চাচা ডেসটিনির সাবেক এমডি রফিকুল আমিন ও চাচি ফারাহ্ দীবা তাকে ডেসটিনিতে ক্রেতা পরিবেশক বানিয়ে কাজ করার জন্য সুযোগ তৈরী করে দেন। এরপর তিনি চাচা-চাচির বদান্যতায় একসময় হিরো বনে গেলেন। আর তার চাচা-চাচি যখন মিথ্যা মামলায় জর্জরিত হয়ে একযুগেরও অধিক সময় আদালতের আঙ্গিনায় পদচারনা ও জেলখানায় বসবাস করছিলেন তখন চাচার পক্ষে না দাঁড়িয়ে তিনি দুদকের পক্ষে স্বাক্ষী হয়ে আপন রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেন।
ডেসটিনিতে অনেক যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি থাকা সত্বেও শুধুমাত্র ভাতিজা হওয়ার কারণে রফিকুল আমিন আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য আত্মসমর্পণ করে জেলখানায় যাওয়ার সময় তিনি এই আশরাফুল আমিনকে কোম্পানির কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব দেন। ২০১৩ সালে আশরাফুল আমিন জেলখানায় রফিকুল আমিনের সাথে দেখা করতে যান । তখন রফিকুল আমিন কো-শেয়ার, এমডিআর, এসটিএল-এর মাধ্যমে যেই টাকা ফিল্ড থেকে আশরাফুল আমিন তুলেছিলেন তার হিসাব চাইলে তিনি পদত্যাগ করে চলে আসেন।
ডেসটিনি সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আশরাফুল আমিন কিছুদিন পরপর ডেসটিনিতে এসে অনেক হেডম দেখান, আবার মাঝে মধ্যে গায়েব হয়ে যান। এবার পুনরায় রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসাইনের মুক্তির পর আবার এসেছেন। এসেই বললেন, সার্ভার চালু করবেন। যদিও মূল সার্ভার চালু করার ক্ষমতা তার কাছে নেই। কারণ, পূর্বে ডেসটিনির আইটিতে কর্মরত এক স্টাফ গাদ্দারি করে তাকে সার্ভারের একটি অংশ সাপ্লাই দিয়েছিল। এরপর আশরাফুল আমিন বললেন, ১০ পয়েন্ট দিয়ে প্রাথমিক অবস্থায় ব্যবসা চালু করবেন। তারপর ডেসটিনির ক্রেতা পরিবেশকদের মূলা ঝুলিয়ে দুইশত টাকার এনএফসি কার্ড এক হাজার টাকা দিয়ে করতে বললেন।
ডেসটিনির ক্রেতা পরিবেশক ও বিনিয়োগকারীগণ অনুরোধ করেন, বৃহত্তর স্বার্থে ইগো বাদ দিয়ে তিনি যেন দ্রুত ডেসটিনি অঙ্গন ত্যাগ করে অন্য কোন কিছু করার চেষ্টা করেন। এতে ডেসটিনির ৪৫ লক্ষ ক্রেতা পরিবেশক ও বিনিয়োগকারীগণ উপকৃত হবেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ডেসটিনির ক্রেতা পরিবেশক ও বিনিয়োগকারীগণ তার পদত্যাগ চেয়ে স্ট্যাটাস দিচ্ছে।