ঢাকাশনিবার , ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  1. আজ দেশজুড়ে
  2. আজকের সর্বশেষ
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি সংবাদ
  5. খাদ্য ও পুষ্টি
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম
  9. চাকরি-বাকরি
  10. ছড়া
  11. জাতীয়
  12. জীবনযাপন
  13. ঢাকা
  14. তথ্যপ্রযুক্তি
  15. ধর্ম
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জনবল সংকটে ড্রেজিং সক্ষমতা কাজে লাগাতে পারছে না বিআইডব্লিউটিএ

শেখ আরহাম বকস
সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫ ৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

শেখ আরহাম বকস: জনবল সঙ্কটে ডেজিং সক্ষমতা কাজে লাগাতে পারছে না বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। ফলে নাব্য সঙ্কটে দেশের নৌপথ ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে নিয়মিত নদী খনন কার্যক্রম। তাতে গুরুত্বপূর্ণ নৌপথে তার প্রভাব পড়ছে। ফলে নৌপথে স্বাভাবিক চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি পণ্য পরিবহন ব্যয় বাড়ছে। অথচ জনবল সংকটে অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে (বিআইডব্লিউটিএ) মালিকানাধীন ৮৭টি ড্রেজার ও সহায়ক যন্ত্র। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ বহরে ১১২টি ড্রেজার ও জলযান থাকলেও মাত্র ২৫টি চালু আছে। তার মধ্যে আবার কয়েকটি আংশিকভাবে সচল। বাকিগুলো মাসের পর মাস নাবিক ও অপারেটর সংকটে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মূলত দক্ষ জনবল নিয়োগ না হওয়ায় মেশিনগুলো নিয়মিত ব্যবহার করা যাচ্ছে না। সংস্থারি বিদ্যমান ড্রেজার ও সহায়ক যন্ত্রপাতি পরিচালনার জন্য প্রায় দুই হাজার জনবলের প্রয়োজন। বিগত ২০১৯ সাল থেকেই সংস্থাটি ওসব জনবলের পদ সৃষ্টিসহ নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে। ওই বছর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ১ হাজার ৬০১টি পদের অনুমোদনও দেয়া হয়। তবে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে সম্মতি মেলে কেবল ৬৭৭টি পদের। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর ২০২২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রাজস্ব খাতে ৪৩ ক্যাটাগরিতে ৬৭৭টি পদ সৃজন করে সরকারি মঞ্জুরি আদেশ জারি করা হয়। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয়ের ভেটিং না পাওয়ায় বিআইডব্লিউটিএর চাহিদা অনুযায়ী ৯২৪টি পদ নিয়ে সারা দেশের ১৪টি ড্রেজিং ডিভিশনে থাকা ৮৭টি ড্রেজার সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে চাহিদা অনুযায়ী সারা দেশে ড্রেজিং কার্যক্রম না চালিয়ে সবচেয়ে জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ নৌরুটগুলোয় কেবল কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, আগে বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজার দিয়ে নিয়মিত ৮-১২ ঘণ্টা পর্যন্ত ড্রেজিং করা হতো। কিন্তু বর্তমানে ৫-৬ ঘণ্টার বেশি ডেজিং সম্ভব হচ্ছে না। আর জনবল কম থাকায় নিয়মিতই ড্রেজার পরিচালনা কর্মীদের জরুরি বিবেচনায় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বদলি করতে হয়। তাতে সময়ক্ষেপণ ছাড়াও বিআইডবিলউটিএ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। বর্তমানে সংস্থাটি নারায়ণগঞ্জ, আরিচা, শিমুলিয়া, বরিশাল, খুলনা, ঢাকা, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জের ১৪টি ড্রেজিং ডিভিশনের অস্থায়ী দপ্তর থেকে নৌরুটের ড্রেজিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। কিন্তু চাহিদা থাকলেও বিআইডব্লিউটিএ কারিগরি জনবলের অভাবে অন্য জেলাগুলোয় ড্রেজার বেইজ স্থাপন ও ড্রেজিং ডিভিশনের কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গভাবে পরিচালনা করতে পারছে না।

সূত্র আরো জানায়, ড্রেজিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিতে চলতি বছরের শুরুতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতির জন্য বিআইডব্লিউএি নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, নিয়মিত পাঁচটি ড্রেজার, পাঁচটি ক্রেনবোট, পাঁচটি ক্র-হাউজবোট ও ১০টি সার্ভে ওয়ার্কবোট নিয়মিত জনবল দিয়ে পরিচালনা করা হলেও বাকি ৮৭টি জলযান পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় কর্মী নেই। অথচ বিআইডব্লিউটিএর নৌপথ ড্রেজিংয়ের কার্যক্রম তীব্র হয়ে উঠেছে। ৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আরো ৩৫টি ড্রেজার নির্মাণের একটি প্রকল্প চলমান। এরই মধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে চারটি হস্তান্তর করা হয়েছে। আগামী বছরের শুরুতে আরো চারটি ড্রেজার পাওয়া যাবে। চলমান প্রকল্পের ড্রেজারগুলো বহরে যোগ হলে আরো তীব্র আকার ধারণ করবে জনবল সংকট। ফলে ড্রেজারসহ নৌপথ স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির প্রাপ্যতা সত্ত্বেও কর্মীর অভাবে সেগুলো অলস বসিয়ে রাখা ছাড়া বিআইডব্লিউটিএর উপায় থাকবে না।

এ প্রসঙ্গে বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. মজনু মিয়া বণিক জানান, নৌপথে নিয়মিতভাবে ড্রেজিং করতে দক্ষ কারিগরি জনবল প্রয়োজন। আগের দুটি বড় প্রকল্পের ড্রেজারসহ যন্ত্রপাতি এলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী জনবলের অনুমোদন পাওয়া যায়নি। ফলে চলমান প্রকল্পটির আকার কমিয়ে ফেলা হয়েছে। আর জনবল নিয়োগ দেয়া না হলে বিপুল ব্যয়ের ওসব যন্ত্রপাতি ও ড্রেজার দিয়ে নৌপথ সুচারু রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।

আমাদের সাইটে আমরা নিজস্ব সংবাদ তৈরির পাশাপাশি দেশের এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্বনামধন্য সংবাদমাধ্যম থেকে গুরুত্বপূর্ণ খবর সংগ্রহ করে নির্ভুল সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। আমরা সবসময় তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা এবং সঠিকতা নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। তবে, যদি কোনো সংবাদ নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকে, তাহলে আমরা আপনাকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি সংশ্লিষ্ট সংবাদ মাধ্যম বা নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য। এই সাইটের সব ধরণের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও এবং ভিডিও কন্টেন্ট কপিরাইট আইন দ্বারা সুরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই কন্টেন্ট ব্যবহারের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং আইনত শাস্তিযোগ্য। আমরা আমাদের ব্যবহারকারীদের একটি সুরক্ষিত ও তথ্যবহুল অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের নিউজ সাইটের মাধ্যমে পাওয়া যেকোনো তথ্য ব্যবহারের আগে দয়া করে সেই তথ্যের উৎস যাচাই করতে ভুলবেন না। আপনাদের সমর্থন এবং সহযোগিতা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। আমাদের সাথেই থাকুন, সর্বশেষ খবর এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে।
%d bloggers like this: