বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যখন নেতৃত্ব সংকট প্রবল, আদর্শ ও বিশ্বাসযোগ্যতার ঘাটতি যখন দিনের পর দিন তীব্রতর—ঠিক তখনই এক ব্যতিক্রমধর্মী ব্যক্তিত্ব ড. মোহাম্মদ রফিকুল আমীন উদিত হয়েছেন এক নতুন প্রত্যাশার প্রতীক হয়ে।
প্রচলিত রাজনীতির বাইরে থেকে উঠে এসে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘বাংলাদেশ আমজনগন পার্টি’ একটি দল, যেটি এখন শুধু একটি রাজনৈতিক সংগঠন নয়, বরং দেশের সাধারণ মানুষের চোখে একটি সম্ভাবনার নাম।
অর্থবিত্তে স্বয়ংসম্পূর্ণ নেতা, যার চাওয়া কেবল মানুষের ভালোবাসা ও জনগণের মনবল বিশ্বাস। অনেকে রাজনীতিতে আসেন বিত্ত-বৈভবের আশায়, কিন্তু ড. আমীন তার ঠিক উল্টো। তাঁর নিজের কথায় “আমার কোটি কোটি টাকার সম্পদ আছে। আমি রাষ্ট্র থেকে কিছু নিতে আসিনি, আমি সেবা করতে এসেছি।” এই কথায় বিশ্বাস রেখেই তার অনুগামীরা বলছেন, তিনি রাষ্ট্র থেকে কোনো সুবিধা চান না বরং রাষ্ট্রকে কিছু ফেরত দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকেই রাজনীতিতে এসেছেন। ড. আমীনের এই সম্পদ-স্বয়ংসম্পূর্ণতা তাঁকে দুর্নীতিমুক্ত ও নিরপেক্ষ নেতৃত্বের এক নতুন সংজ্ঞা দিয়েছেন। এমন মানুষ দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিরল।
দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতিতে অনড় অবস্থান ড. রফিকুল আমীন নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন বারবার। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমি কোনো রকম সহনশীলতা দেখাব না। অপরাধীদের প্রশ্রয় দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। তাঁর মতে, রাজনীতির বড় সমস্যা হলো অপরাধীদের দলে জায়গা দেওয়া। আর এই সংস্কৃতি তিনি সম্পূর্ণরূপে ভেঙে ফেলতে চান। রাজনীতি হবে পবিত্র ও জনকল্যাণমূলক—এই বিশ্বাস থেকেই তিনি তাঁর দলকে গড়ে তুলছেন।
জনগণের জন্য সর্বোচ্চ উদারতা, নেতার চেয়েও সেবক হতে চান তিনি, রাজনীতিতে অনেকেই ক্ষমতার জন্য আসেন, ড. আমীন ব্যতিক্রম। তিনি বলেন, আমি নেতা হতে চাই না, আমি মানুষের পাশে থাকা একজন সহযোদ্ধা হতে চাই। তার রাজনৈতিক দর্শনের মূল ভিত্তি হলো,আইনের শাসন,মানবিক মর্যাদা,ন্যায়বিচার, দুর্বল ও অবহেলিত জনগণের অধিকার সংরক্ষণ। তিনি রাজনীতিতে সুবিধাবাদী গোষ্ঠীর পরিবর্তে মাজলুম জনগণের প্রতিনিধি হয়ে উঠতে চান।
সাংগঠনিক বিস্তারে চমক: শহর ছাড়িয়ে গ্রামেও আলোচনায় ‘আমজনগন পার্টি’ শুধু মাত্র কয়েক মাসেই আমজনগন পার্টি দেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে। দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন: কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক: ড. মোহাম্মদ রফিকুল আমীন, সদস্য সচিব: ফাতেমা তাসনিম। তরুণ সমাজ, চাকরিপ্রার্থী, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, প্রবাসী এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে দলটির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। কেউ কেউ একে ‘বাংলাদেশের আম আদমি পার্টি’র সম্ভাব্য সমান্তরাল রূপ হিসেবেও দেখছেন।
অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রশ্ন তুলছেন, দলটি কি কোনো জোটে যাবে? ড. রফিকুল আমীনের জবাব সোজাসাপ্টা আমরা এখনো কোনো জোটে যাচ্ছি না। আগে দল গুছিয়ে নিতে চাই। পরে সময় হলে নীতিনির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নেবেন। এই বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট, তিনি রাজনীতিতে হঠকারি জোট কিংবা সুবিধাবাদী জোটের পথকে এড়িয়ে যাচ্ছেন।
অনেকেই ড. রফিকুল আমীনকে ‘বাংলাদেশের হ্যামেলিনের বাঁশিওয়ালা’ বলছেন তিনি যেখানে যাচ্ছেন, সেখানেই মানুষ তার কথায় আগ্রহী হয়ে উঠছে। তাঁর বিনয়, সততা ও স্পষ্ট বক্তব্য তাকে রাজনীতির ঐতিহ্যবাহী নেতাদের চেয়ে আলাদা এক জায়গায় দাঁড় করাচ্ছে। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি কখনো দুর্নীতিকে স্থান দেবেন না, জনগণের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেবেন, নিজের নয়, দেশের ভবিষ্যৎ গড়তে কাজ করবেন
বাংলাদেশে রাজনীতির বর্তমান চিত্রে যে হতাশা ও অনাস্থা তৈরি হয়েছে, সেখানে ড. রফিকুল আমীনের মতো একজন স্বচ্ছ, স্বয়ংসম্পূর্ণ ও দূরদর্শী নেতৃত্ব সত্যিই আশাজাগানিয়া। তিনি যদি নিজের এই নীতিগত অবস্থান বজায় রাখতে পারেন এবং সংগঠনকে কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে পারেন, তবে ভবিষ্যতের বাংলাদেশে তার নেতৃত্বে একটি বিকল্প রাজনৈতিক শক্তির অভ্যুদয় ঘটতে পারে।