যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক এড়ানো দেশের পোশাক খাত এবং এ খাতের ওপর নির্ভরশীল লাখ লাখ মানুষের জন্য একটি বড় ধরনের স্বস্তির বার্তা—বলেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান।
তিনি জানান, সম্ভাব্য ৩৫ শতাংশ শুল্কের জায়গায় ২০ শতাংশে চূড়ান্ত হওয়া বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক অর্জন। তৃতীয় দফার আলোচনা শেষে ১৫ শতাংশ কমিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে বাংলাদেশের ওপর। এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্তব্য করেন উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের ভেরিফায়েড পেজে শেয়ার করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে নতুন শুল্ক হার ঘোষণা করা হয়। এর আগে বাংলাদেশকে পাঠানো এক চিঠিতে মার্কিন প্রশাসন ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের কথা জানায়। সর্বশেষ আলোচনার মাধ্যমে সে হার কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়।
আলোচনায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। দলে ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। আলোচনার পর খলিলুর রহমান বলেন, “আমরা সতর্কতার সঙ্গে আলোচনা করেছি যাতে আমাদের প্রতিশ্রুতিগুলো জাতীয় স্বার্থ ও সক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে।”
পোশাক খাতকে সুরক্ষা দেওয়া ছিল বাংলাদেশের পক্ষের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার, বলেন উপদেষ্টা। তবে পাশাপাশি মার্কিন কৃষিপণ্য কেনার প্রতিশ্রুতিও গুরুত্ব পেয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের খাদ্যনিরাপত্তা জোরদার হবে এবং মার্কিন কৃষিপণ্যনির্ভর অঙ্গরাজ্যগুলোর সঙ্গে অর্থনৈতিক সেতুবন্ধ তৈরি হবে।
খলিলুর রহমান আরও বলেন, “আমরা আমাদের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতাও ধরে রেখেছি এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভোক্তাবাজারে প্রবেশের নতুন সুযোগ তৈরি করেছি।