রায়েরবাজার গণকবরে শায়িত ১১৪ শহীদের মরদেহ শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। শহীদদের পরিবার চাইলে তাদের মরদেহ নিজেদের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে দাফনের সুযোগও থাকবে।
শনিবার সকালে রায়েরবাজার গণকবর পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, “ডিএনএ পরীক্ষা করে যদি মরদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়, তবে পরিবার চাইলে তা হস্তান্তর করা হবে।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যারা জীবন দিয়েছেন, মূলত তাদের মরদেহই রয়েছে এই গণকবরে। দীর্ঘদিন ধরে অজ্ঞাত হিসেবে শায়িত এসব শহীদের কবরগুলো নিয়ে শহীদ পরিবারগুলোর মধ্যে এক ধরনের অস্পষ্টতা ছিল। এবার সেটির নিরসন চায় সরকার।
ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে মরদেহ শনাক্তের এই উদ্যোগকে তিনি একটি “ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন” বলে আখ্যা দেন।
উপদেষ্টা বলেন, “শুধু হত্যার বিচার নয়, শহীদদের মর্যাদা নিশ্চিত করাও আমাদের কর্তব্য।” এ সময় তিনি আরও বলেন, “দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা এখন দুর্নীতি। এই ব্যাধির বিরুদ্ধে মিডিয়াকে আরও সক্রিয় হতে হবে।”
রায়েরবাজার পরিদর্শনের আগে তিনি মোহাম্মদপুর থানা পরিদর্শন করেন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
ডিএনএ পরীক্ষার জন্য শহীদদের পরিবারদের জাতীয় পরিচয়পত্রসহ তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে পরীক্ষার কাজ শুরু হবে বলে জানা গেছে।