উড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিং প্ল্যাটফর্ম ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট’-এর বিরুদ্ধে প্রায় চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন বিপুল সরকার নামের এক ব্যক্তি। তিনি ‘বিপুল সরকার ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস’-এর মালিক। মামলায় পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ফ্লাইট এক্সপার্টের হেড অব ফিন্যান্স সাকিব হোসেন, চিফ অপারেটিং অফিসার একেএম সাদাত হোসেন ও চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সাঈদ আহমেদ।
মতিঝিল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন জানিয়েছেন, শনিবার রাতে মামলাটি দায়ের করা হয়। বাকি দুই আসামি হলেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমান বিন রাশিদ শাহ সাঈম এবং তার বাবা এম এ রাশিদ। তাদের দুজনেই পলাতক এবং অভিযোগ রয়েছে—তারা দেশ ছেড়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যা থেকে হঠাৎ করে ফ্লাইট এক্সপার্ট-এর ওয়েবসাইট ও কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এতে হঠাৎ করে বিপাকে পড়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ট্যুর ও ট্রাভেলস এজেন্সিগুলো, যারা ওই প্রতিষ্ঠানে অগ্রিম অর্থ দিয়ে টিকিট বুকিং করেছিল।
এজেন্ট ও গ্রাহকদের অভিযোগ অনুযায়ী, অন্তত ১৭টি ভুক্তভোগী এজেন্সির আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এই ঘটনায় শুধু ব্যবসায়ীরা নন, সাধারণ টিকিট ক্রেতারাও ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
মামলার বাদী বিপুল সরকার জানান, ফ্লাইট এক্সপার্ট দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এজেন্সির কাছ থেকে অর্থ নিয়ে টিকিট বুকিংয়ের কথা বললেও সম্প্রতি কোনো টিকিট দিচ্ছিল না। হঠাৎ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে কর্মকর্তারা গা-ঢাকা দিলে প্রতারণার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের অংশ হিসেবে গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।