হবিগজ্ঞ সদর উপজেলার আলোচিত পতিতা হোটেল সেফা আক্তার ভুয়া শিক্ষাগত সনদ ব্যবহার করে উপজেলা নারী আনসার এর কোম্পানি কমান্ডার পদে সরকারি চাকুরী করার অভিযোগ উটেছে।আনসার ও ভিডিপির উপজেলা মহিলা কোম্পানি কমান্ডার পতিতা শেফা আক্তারের বিরুদ্ধে।
এবিষয়ে তার বিরুদ্দে স্হানীয় সাংবাদিকদের অনুসন্ধানি টিম তদন্তে মাঠে নেমেছে, ধীরে ধীরে বেড়িয়ে আসছে ওই সুন্ধরী পতিতা নারী কমান্ডার এর আসল রুপ।
জানাযায় স্বজনপ্রীতি, নিয়োগে অনিয়ম এবং সদস্যদের ডিউটি ও ভাতা আত্মসাতের মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সূত্রে জানা যায়, হবিগজ্ঞ সদর উপজেলার পইল পশ্চিম পাড়া গ্রামের রিক্সা চালক আব্দুল খালেক ঘড়জামাই হিসাবে বিয়ে করেন সেফার মা রহিমা খাতুনকে, দাম্পত্ব জীবনে শংসার করেন ৪ বছর থামাতে পারেননি পর পুরুষের সাথে গুপন অভিসার, এবস্হায় তালাক দেন রহিমা খাতুনকে রেখে যান তিন বছরের মেয়ে সেফা আক্তারকে, সেই সুবাদে রহিমা বসতে থাকেন একের পর এক বিয়ে। এদিকে সেফা আক্তার ৯ বছর বয়সেই পেঠের তাগিদে নেমে পরেন দেহ ব্যাবসায়, কিচুদিন পর পর এলাখায় ছেলেদের সাথে ধরাও খেয়ে যান তিনি, দক্ষিন তেঘরিয়ার বাসিন্ধা শেফা আক্তার।
একপর্যায়ে বিয়ে হয় বানিয়াচং উপজেলার উজির পুর গ্রামের রিক্সাচালক তোফাজ্জল মিয়ার সাথে। সুরু করেন দাম্পত্ব জীবন, কথায় আছে কয়লা দুইলে ময়লা যায়না সেফা আক্তার আসক্ত হয়ে উঠেন চেংরা বয়সী ছেলেদের উপর তাহা মেনেনিতে পারেননি অভাগা তোফাজ্জল মিয়া।শুরু হয় একের পর এক শালিস একপর্যায়ে তালাক দেন আলোচিত সেফা আক্তারকে। তকনই টাকার বিনিময়ে নিজ বাড়ীতেই শুরু করেন দেহ ব্যাবসা।
কিন্ত কাল হয়ে দাড়ায় ঐ এলাখার সভ্ব্যসমাজ।একন দিন কাটে অভাব অনঠনে,তকনই তকনই পেঠের দায়ে সেফা আক্তার হয়ে উঠেন শহর মুখি আর করতে থাকেন একের পর এক বিয়ে অল্পদিনেই চলে আসে রুপ চেহারারও পরির্তন, ২০১০/২০১১ সাল আবার কাল হয়ে উঠে হবিগজ্ঞের গন মাধ্যম দৈনিক প্রতিদিনের বানী সহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় লিড নিউজ পতিতা সেফা, বেশ্যা সেফা যেমন কর্ম তেমন ফল।
পরবর্তীতে ২০১৮ সালে হবিগজ্ঞ সদর উপজেলা মহিলা আনসার কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে আনসার বাহিনীতে যোগ দেন। তার পর থেকেই আলোচিত সুন্দরী পতিতা সেফা আক্তারের শুরু হয় ব্যায়াপক পরিবর্তন, রাতা রাতি ঝুপড়ি ঘড় ভেংগে তৈরী করেছেন ধালান।
নিয়োগের সময় জমা দেওয়া সনদ অনুযায়ী তিনি ১৯৯৭ সালে সুকড়ি পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পাস করেছেন বলে দাবি করেন।সরেজমিনে ওই বিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে সুকড়ি পাড়া উচ্ছ বিদ্যালয়ে হাজির হইলে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাহাউদ্দিন চৌধুরী বিদ্যালয়ের রেজিষ্টার খাতা পত্র যাছাই বাছাই করে তিনি সাংবাদিকদের জানান বিগত ১৯৯৭ সালে, এমনকি উক্ত বছরের আগে ও পরে শেফা আক্তার নামে কোনো শিক্ষার্থীর নাম বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারে পাওয়া যায়নি এমনকি ঐ বিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট ফরমের সাথে সেফা আক্তার এর ভুয়া বানানো শিক্ষা সনদের কোন মিলও পাওয়া যায়নি এমনকি প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর ও জ্বাল।
এতে তার শিক্ষাগত সনদের বৈধতা নিয়ে সচেতন মহলের গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে, তৎকালীন এক উপজেলা আনসার কর্মকর্তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলে এবং তৎকালিন ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকারের একটি রাজনৈতীক প্রভাবশালী মহলের সহায়তায় সে এই পদে নিয়োগ পায়। বিগত সাত বছর ধরে সে সরকারি ভাতা ও অন্যান্য সরকারী সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে আসছে।
এছাড়া তৎকালীন এক জেলা কমান্ড্যান্টের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে । অনৈতিক কাজে ধরা খাওয়ার কারণে এক পর্যায়ে তাকে আনসার ভিডিপি অফিসে যাওয়া একেবারেই নিষেধ করা হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে বিশেষ সুপারিশের মাধ্যমে আবারও সে সেখানে নিয়মিত যাতায়াত শুরু করে।
পতিতা হোটেল শেফা আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, সে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে টাকাও অবৈধ্য লেনদেনের বিনিময়ে জাতীয় নির্বাচন সহ বিভিন্ন নির্বাচন ও সারদীয় দূর্গা পুজায় লোক নিয়োগ দিয়েছে। এতে যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হয়েছেন এবং বাহিনীর ভেতরে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। একাদিক আনসার ভিডিপির সদস্যগন এ অভিযোগ করেছেন। আলোচিত পতিতা সেফা সদস্যদের প্রাপ্য ডিউটির ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা নিয়মিত ভাবে আত্মসাৎ করেছেন।
হবিগজ্ঞ জেলার সচেতন মহল এ বিষয়ে জরুরী বিতৃতে তদন্ত পূর্বক তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জ জেলা আনসার ও ভিডিপি কমান্ড্যান্ট হোসনে আরা হাসি বলেন, “শেফা আক্তারের জাল সনদে চাকরি নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে, পাশাপাসি তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এতে কোন সন্ধেহ নেই।