ঢাকাশনিবার , ৩০ আগস্ট ২০২৫
  1. আজ দেশজুড়ে
  2. আজকের সর্বশেষ
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি সংবাদ
  5. খাদ্য ও পুষ্টি
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম
  9. চাকরি-বাকরি
  10. ছড়া
  11. জাতীয়
  12. জীবনযাপন
  13. ঢাকা
  14. তথ্যপ্রযুক্তি
  15. ধর্ম
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ধানের প্রকৃত নামেই চাল বাজারজাত করতে হবে

সাদেকুল ইসলাম রুম্মান
আগস্ট ৩০, ২০২৫ ৫:৩১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সাদেকুল ইসলাম রুম্মান: এখন থেকে মিনিকেট ও নাজিরশাইল নামে চাল বিক্রি করা যাবে না। বরং ধানের প্রকৃত নামেই চাল বাজারজাত করতে হবে। কারণ মিনিকেট এবং নাজিরশাইল বলে দেশের বাজারে কোনো ধান নেই। যদিও হরেক রকম মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল বাজারে বিক্রি হচ্ছে। মূলত ‘ব্রি-২৮’ ও ‘ব্রি-২৯’ ধানের চালই প্রযুক্তিগুণে বাজারে মিনিকেট ও নাজিরশাইল নামে বিক্রি হচ্ছে। একই চাল স্থান-কাল-পাত্রভেদে আড়তগুলোয় ভিন্ন ভিন্ন নামে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী ওসব চাল বস্তাবন্দি হচ্ছে। কিন্তু এখন থেকে আর মিনিকেট ও নাজিরশাইল নামে চাল বিক্রি করা যাবে না। ওসব নামে চাল বিক্রি করলে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, এক শ্রেণির প্রতারক ব্যবসায়ী নামে-বেনামে মিনিকেট ও নাজিরশাইল নামে চাল বাজারজাত করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ধানের নামহীন ওসব বেনামি চাল বাজার থেকে প্রত্যাহারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর তিন ধাপের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রথম ধাপে জুলাইয়ের ভেতরে মিনিকেট, নাজিরশাইলসহ সব অননুমোদিত চাল বাজার থেকে প্রত্যাহার করতে হবে। দ্বিতীয় ধাপে ১ থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বাজার থেকে প্রত্যাহার বা পরিবর্তিত প্যাকেট বা বস্তা সম্পর্কে বাজার মনিটরিং করা হবে। আর তারপর ১৬ আগস্ট থেকে মিনিকেট ও নাজিরশাইল নামে কোনো চাল বিক্রি করলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেবে।

সূত্র জানায়, মিনিকেট নামে চাল বিক্রির ওপর গত বছরই খাদ্য মন্ত্রণালয় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে। তার আগে সরকার ২০২৩ সালে একটি বিধিমালা প্রণয়ন করে। আইনে চালের বস্তার গায়ে মিনিকেটের মতো ভিন্ন নাম লিখলে দুই বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা পর্যন্ড অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়। বিধিমালায় বলা হয়, কোনো অনুমোদিত জাতের খাদ্যদ্রব্য থেকে উপজাত হিসেবে প্রাপ্ত খাদ্যদ্রব্যকে ওই জাতের উপজাত হিসেবে নামকরণ (যেমন বিআর-২৮ ধান থেকে মিলিংয়ের পর প্রাপ্ত চালের নাম বিআর-২৮ চাল) করতে হবে। অন্য কোনো নামে যেমন মিনিকেট, কাজললতা, আশালতা, রাঁধুনি বা ওরূপ নামে নামকরণ করে বাজারজাত করা যাবে না। কিন্তু পালকি, মান্নান, শাহরিয়ার, কাটারি রয়েল ক্রাউন, মজুমদার, সেভেন স্টার, জারা, উৎসব হাসকি, নাজির সুপার প্রিমিয়াম, নাজির প্রিমিয়াম, সম্পা কাটারি, নাজিরশাইল গ্রেড এ, নাজিরশাইল প্রিমিয়াম, নাজিরশাইল ডায়মন্ড, নাজিরশাইল মুন্সীসহ বিভিন্ন নামে নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া সিরাজ, দাদা, রাজ্জাক, শামীম, মজুমদার, কাকলি, স্পেশাল, ইউনুস, ডাব, বনফুল বাঁশরি, সিয়াম, ওসমান, সায়েম, জায়েদা, শাকিল, রানা, আকিজ, তীর, নূর রহমান, এসিআই, রশিদ প্রমুখ নামে বাজারে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান জানান, ধানের প্রকৃত নামেই সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে চাল বাজারজাত করতে হবে। এটা খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা। কিন্তু ধান না থাকলেও বাজারে মিনিকেট নামে চাল বিক্রি হচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠানই প্যাকেটের গায়ে মিনিকেট লিখছে। এটা অপরাধ। সরকারি নীতিমালা মানা হচ্ছে না। প্রতিটি জেলায় ডিসিদের অননুমোদিত চাল সরবরাহ ঠেকাতে কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।

আমাদের সাইটে আমরা নিজস্ব সংবাদ তৈরির পাশাপাশি দেশের এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্বনামধন্য সংবাদমাধ্যম থেকে গুরুত্বপূর্ণ খবর সংগ্রহ করে নির্ভুল সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। আমরা সবসময় তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা এবং সঠিকতা নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। তবে, যদি কোনো সংবাদ নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকে, তাহলে আমরা আপনাকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি সংশ্লিষ্ট সংবাদ মাধ্যম বা নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য। এই সাইটের সব ধরণের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও এবং ভিডিও কন্টেন্ট কপিরাইট আইন দ্বারা সুরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই কন্টেন্ট ব্যবহারের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং আইনত শাস্তিযোগ্য। আমরা আমাদের ব্যবহারকারীদের একটি সুরক্ষিত ও তথ্যবহুল অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের নিউজ সাইটের মাধ্যমে পাওয়া যেকোনো তথ্য ব্যবহারের আগে দয়া করে সেই তথ্যের উৎস যাচাই করতে ভুলবেন না। আপনাদের সমর্থন এবং সহযোগিতা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। আমাদের সাথেই থাকুন, সর্বশেষ খবর এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে।
%d bloggers like this: