বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যখন শুরু হয়েছে নেতৃত্বের সংকট, ঠিক সেই সময়ই রাজনীতিতে নতুন চমক হিসেবে আবির্ভাব ঘটেছে ড. মোহাম্মদ রফিকুল আমীনের।
তিনি বাংলাদেশের নেটওয়ার্ক মার্কেটিংয়ের জনক। প্রায় ৪৫ লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে ব্যাপক জনপ্রিয়তাও অর্জন করেছেন তিনি। সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশ আমজনগন পার্টি নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করে ব্যাপক আলোচনার ঝড়ও তুলেছেন। দেশের টংয়ের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বত্রই এখন তাকে নিয়েই আলোচনা-সমালোচনা চলছে। কেউ কেউ মনে করছেন নতুন এই দলটির ভারতের আমআদমি পার্টির মতোই চমক সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
ইতোমধ্যে নতুন এই দলটিকে নিয়ে ছোট বড় অনেক দলই ভাবতে শুরু করেছে। কারণ, রফিকুল আমীনকে অনেকেই হ্যামেলিনের বাঁশিওয়ালা হিসেবে চিহ্নিত করেন। আমজনগন পার্টিকে তিনি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি যা যা করা দরকার করবেন, এই বিশ্বাস তার অনুসারীদের রয়েছে। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাড়াও দেশের অধিকাংশ জেলার আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে। দলটিতে কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আমীনের সাথে সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ফাতেমা তাসনিম। যদিও রফিকুল আমীনের তুলনায় তার পরিচিতি অনেক কম।
ভবিষ্যতে কোনো জোট করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ড. মোহাম্মদ রফিকুল আমীন বলেন, এটা আমাদের দলের উচ্চ পর্যায়ের নীতি নির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নেবে। তবে আপাতত এই ধরণের কোনো চিন্তা ভাবনা আমাদের নেই। আমরা দল গুছানোর কাজ করছি। দেখা যাক কি হয়। তিনি বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও অবিচার-জুলুম নির্মূল করার লক্ষ্যে আমি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেছি। আমি মাজলুমের পাশে দাঁড়াতে চাই। আমজনগন পার্টিকে দেশের অতি নগন্য সাধারণ মানুষের দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। এজন্যে সকলের দোয়া ও সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।