বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদেরকে এখন ঐক্যবদ্ধভাবে শপথ নিতে হবে—এই ফ্যাসিস্ট সরকারের আর যেনো কোনোদিন এ দেশে রাজনীতি করার সুযোগ না থাকে।
রোববার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি’ উপলক্ষে ছাত্রদলের আয়োজিত ছাত্রসমাবেশে তিনি প্রধান বক্তা হিসেবে এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আজকের সমাবেশ থেকে আমাদের শপথ নিতে হবে যে, আমরা আর কোনোদিন এই ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে দেশের রাজনীতির ময়দানে দেখতে চাই না। আমাদের শপথ নিতে হবে, আমরা কারও কাছে মাথা নত করব না। আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য লড়াই করব।
মির্জা ফখরুল দাবি করেন, বাংলাদেশে বিভিন্নভাবে বিভক্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে এবং সেই ষড়যন্ত্রের কেন্দ্রস্থল হিসেবে ভারতকে ইঙ্গিত করে বলেন, পাশের দেশ ভারতবর্ষেই বর্তমান শাসকগোষ্ঠী আশ্রয় নিয়েছে এবং সেখান থেকেই নানা রকম হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
তার ভাষায়, শুধু হুমকি নয়, বাংলাদেশে গোলযোগ সৃষ্টির অপচেষ্টাও চলছে। তবে তিনি বলেন, ছাত্রদলসহ দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। এখন সময় এসেছে একটি নতুন সূর্যের আলোয় বাংলাদেশকে গড়ে তোলার।
তিনি আরও বলেন, আজকের দিনটি যেমন আনন্দের, তেমনি বেদনার। এক বছর আগে এই দিনেই আমরা হারিয়েছি আমাদের অনেক ভাই-বোনকে। তবে তাঁদের আত্মত্যাগ আমাদের অনুপ্রেরণা। এই আত্মত্যাগের লক্ষ্য ছিল একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ, যেখানে শিক্ষার্থীরা পাশ করে চাকরি পাবে, কারখানা গড়ে উঠবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং ভালো মানুষেরা দেশ পরিচালনা করবে।
বিএনপি মহাসচিব তার বক্তব্যে বলেন, ছাত্র, জনতা ও শ্রমিকদের এই আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে তারা লড়াই করছে একটি সুশাসনের জন্য। এখন সময় এসেছে, নতুন বাংলাদেশ গড়ার। নতুন নেতৃত্বের অপেক্ষায় আছে জনগণ।
সমাবেশে তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। দেশের মানুষ এখন সেই নির্বাচনের দিকেই তাকিয়ে আছে। ফখরুল আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, তারেক রহমান দেশে ফিরে এসে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবেন এবং নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করবেন।