ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান ইয়াল জামির স্পষ্ট হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, গাজায় হামাসের হাতে থাকা বন্দিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত সামরিক অভিযান থামবে না। তিনি জানান, আলোচনায় সমাধান না এলে যুদ্ধ চালিয়েই জিম্মিদের মুক্ত করা হবে।
আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে শনিবার জানানো হয়, গাজায় এখনো ৪৯ জন ইসরায়েলি বন্দি রয়েছেন, যাদের মধ্যে মাত্র ২২ জনের জীবিত থাকার সম্ভাবনা আছে। সম্প্রতি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ড্রোন ফুটেজে দেখা যায়, ধ্বংসস্তূপ থেকে তিন ব্যক্তি বের হয়ে হাঁটু গেড়ে বসে আত্মসমর্পণ করেন। ভিডিওর সাথে পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, অন্তর্বাস পরা তিনজন নিরস্ত্র পুরুষ হাত তুলে আত্মসমর্পণ করছেন।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এক্স-এ লিখেছেন, “তারা সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে এসেছে। সেনাবাহিনী এখন মাটির ওপরে ও নিচে—উভয় জায়গায় লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করছে।
শনিবার দিনভর গাজাজুড়ে ইসরায়েলের ধারাবাহিক হামলায় অন্তত ২৪ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ ও ত্রাণকেন্দ্রের কর্মীও ছিলেন। তবে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
সেনাপ্রধান ইয়াল জামির বলেন, “আগামী দিনগুলোতে বোঝা যাবে, আমরা কি কোনো চুক্তির মাধ্যমে আমাদের বন্দিদের মুক্ত করতে পারি। যদি না পারি, যুদ্ধ চলতেই থাকবে।”
অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাবি করেন, বেইত হানুন এলাকায় হামাস সদস্যরা আত্মসমর্পণ করেছে এবং তিনি সেই প্রমাণস্বরূপ একটি ভিডিও শেয়ার করেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের অবস্থান স্পষ্ট—জিম্মিদের মুক্তি ছাড়া যুদ্ধ বন্ধের কোনো প্রশ্নই নেই। এ অবস্থান গাজায় আরও সহিংসতা ও প্রাণহানির আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে।